গুরুদাসপুরের ভেজাল এসব গুড়ের মূল বাজার সিলেট; এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব গুড় সরবরাহ করা হচ্ছে।
Published : 14 Feb 2024, 10:31 PM
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে ভেজাল খেজুর গুড় তৈরির দায়ে সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার, কুমারখালী ও কান্দাইল এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
ভোক্তা অধিকার ও র্যাব যৌথভাবে এ অভিযান চালায় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সনজয় কুমার সরকার।
এ সময় বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড়, গুড় তৈরির কাঁচামাল, ভেজাল বিস্কুট, বিস্কুট তৈরির কাঁচামাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে হাজী আব্দুল আজিজ সোনার ট্রেডার্সকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স ভাই ভাই বাণিজ্যালয়কে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা, আল আমিন ট্রেডার্সকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স মুক্তা এন্টারপ্রাইজকে ২৫ হাজার টাকা, পাবনা বেকারিকে ২০ হাজার টাকা, শেখ অ্যাগ্রো ট্রেডিংকে ১০ হাজার টাকা এবং রাজ বেকারিকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার ৬ লাখ ৮০ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাটোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদি হাসান তানভীর বলেন, ভেজাল গুড় ব্যবসায়ীরা নাটোরসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে পচা গুড়, নিম্নমানের তরল খেজুরের গুড় (লালি) সংগ্রহ করে। এসব পচা গুড়ের সঙ্গে অল্প কিছু ভালো গুড় ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে বড় পাতিলে জ্বাল দিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়। সেগুলো দেশের বিভিন্ন বাজারে খাঁটি খেজুরের গুড় বলে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁচকৈড় বাজারের বাসিন্দা রাজিবুল ইসলাম বলেন, চাঁচকৈড় বাজার ও আশাপাশের এলাকার গুড় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল গুড়ের ব্যবসার জন্য পরিচিত পেয়েছে। কিছুদিন পর পর প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায় কিন্তু ব্যবসা বন্ধ হয় না।
গুরুদাসপুরের ভেজাল এসব গুড়ের মূল বাজার সিলেট। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব গুড় সরবরাহ করা হচ্ছে।