কুমিল্লার লাকসামে পুকুর থেকে একটি শকুন উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। পরে সেটি বনবিভাগ কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শকুনটি লাকসাম গ্যাস অফিসের পাশের পুকুরে এসে পড়ে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম রকিবুল হাসান জানান, খাবারের অভাবে শকুনটি দুর্বল হয়ে পুকুরে পরেছিল। বুধবার সকালে শকুনটিকে চিকিৎসা দেন তিনি।
লাকসাম বন বিভাগের কার্যালয়ের গার্ডেনার আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন শকুনটি নিয়ে আসে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান তিনি। পাখিটি পুরোপুরি সুস্থ হলে কুমিল্লা কোটবাড়ি সামাজিক বন এলাকায় অবমুক্ত করা হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম রকিবুল হাসানের ভাষ্য, “হিমালয়ান প্রজাতির এই শকুন শীতকালে আমাদের দেশে আসে। শীতের শেষে আবার ফিরে যায়। মূলত এটি খাবার না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এখন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিক হলে বন বিভাগ পাখিটিকে অবমুক্ত করা হবে।”
তিনি জানান, ‘প্রাকৃতিক ঝাড়ুদার’ খ্যাত শকুন এ দেশে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সবশেষ ২০১৪ সালের শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ২৬০। শকুন র্যাবিস, অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন রোগ-জীবাণু হজম করতে পারে। তবে পশুর ব্যথানাশক ডাইক্লোফেনাক, কিটোপ্রোফেন পাখিটির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই দেশে ডাইক্লোফেনাক উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে। বাজারে বিদ্যমান কিটোপ্রোফেন শেষ হলে আর ব্যবহার হবে না। এটির উৎপাদন বন্ধ আছে।