“বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।”
Published : 21 Apr 2024, 04:03 PM
জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে গোপালগঞ্জে দুটি পরিবারের বাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের কামারোল গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটছে পরিবার দুটির। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সমাধান মেলেনি বলে তাদের অভিয়োগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ছেলেমেয়েরা; বয়োজ্যেষ্ঠরাও চলাফেরায় বিপাকে পড়েছেন। পাশের একটি সরু পথ দিয়ে কোনোমতে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা।
বাঁশের বেড়া অপসারণ করে চলাচলের পথ স্বাভাবিক করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা।
অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য তাসলিমা বেগম বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা শত বছর আগে এখানে বসবাস শুরু করে; সেই থেকে পথটি চলাচলের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে।
“জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে গত ১২ এপ্রিল প্রতিবেশী নিয়াম শেখ, মুরসালিন শেখ, রিয়াজ শেখ আমাদের বাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে কলা ও কচু গাছ লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে।”
এ অবস্থায় চলাফেরায় ভীষণ অসুাবধা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাইনি।
“আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে পথের ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
জোৎস্না বেগম নামের একজন বলেন, “আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ প্রতিবেশীরা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া আমার বিল্ডিং ঘেঁষে নালা খুঁড়ে রেখেছে; যাতে আমরা চলাচল করতে না পারি। এতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি আমার জায়গা ভেঙে যাচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে প্রতিবেশী মুরসালিন শেখের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “ওখানে কোনো পথ ছিল না। আমরা আমাদের জায়গায় বেড়া দিয়েছি। উল্টো প্রতিপক্ষরা আমাদের জায়গা জড়িয়ে ঘর তুলেছে।
“এমনকি আমাদের গায়েও হাত তুলেছে তারা। যে কারণে আমরা বেড়া দিয়েছি। ওখানে আমরা বসতঘর তুলব।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওড়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বদরুল আলম বিটুল বলেন, “চলাচলের পথ বন্ধের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যারা পথ বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের ওই জমি রেকর্ডীয় সম্পত্তি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও মো. রাশেদুজ্জামান বলছেন, “আমি এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”