এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৭ জুন রাতে ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের এমপি মার্কেটে ছাত্রলীগ কর্মী মনাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
Published : 30 Jan 2024, 08:54 AM
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ছাত্রলীগ কর্মী তাফসির আহমেদ মনা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, আসামিরা ইউটিউব দেখে এ কাজ রপ্ত করে।
শনি ও রোববার এই হত্যা মামলায় আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরও নয়জন।
সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আটজন হলেন- ঈশ্বরদী নতুন রুপপুরের মো. মানিক (৩৬), একই উপজেলার দিয়ার সাহাপুরের ফসিউল আলম অনিক (২৭), নতুন রুপপুরের চমন (৩৮), চর সাহাপুরের শাহিন সরদার (২৮) ও নতুন রুপপুরের রাজিব (৩০)।
অন্যদিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রাম থেকে মঞ্জিল হোসেন জনি (২৬), করমজা ঋষিপাড়ার ছেলে রিপন হোসেন (৩৭) ও একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম ওরফে ডুবার সাইদুলকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি প্রাইভেটকার ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সাতটি চোরাই ইজিবাইক জব্দ করা হয়।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৭ জুন রাতে ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের এমপি মার্কেটে ছাত্রলীগ কর্মী মনাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার আকবর আলী আরও বলেন, “মামলার পর তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিগাতলায় অনিক ও মানিকের ভাড়া বাসায় তল্লাশি করা হয়। তখন সেখানে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। সেখানে তৈরি করা অস্ত্র দিয়ে হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হত।
“আসামিরা ইউটিউব দেখে প্রাথমিকভাবে অস্ত্র তৈরি শুরু করেন। এদের অধিকাংশই শিক্ষিত এবং স্থানীয়ভাবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]