ওই ঘটনায় দগ্ধ ১২ জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
Published : 23 Mar 2024, 11:43 PM
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে নাদিম ওরফে নাদেন নামের এক পোশাককর্মী মারা গেছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানান, নাদিমের শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এ নিয়ে ১০ দিন আগের ওই দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হল। ওই ঘটনায় দগ্ধ ১২ জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
গত ১০দিন ধরেই নাদিমের বাবা দিনমজুর আব্দুর রহিম হাসপাতালে থাকছিলেন ছেলে সুস্থ হবে এ আশায়। শেষ পর্যন্ত ছেলের লাশ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে এই বাবাকে। নিহত নাদেনের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
গত সপ্তায় বার্ন ইনস্টিটিউটের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের সামনে কথা হয় আব্দুর রহিমের সঙ্গে।
তিনি বলেছিলেন, “নাদেন তার বউ-বাচ্চা নিয়া ওই এলাকায় (টপস্টার) থাকে। আমি হাসপাতালে আইসা পোলার কাছে গেলাম, অবস্থা ভালা না। পোলায় খালি কইল, ‘আব্বা দোয়া কইরো, আমার জন্য’। কি কমু ভাই, পোলার আমার পুরা শরীরডাই পুড়ছে।”
গত ১৩ মার্চ ইফতারের আগে আগে গ্যাসের আগুনে বিপুল সংখ্যক মানুষের দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গ্যাস বের হতে থাকা গরম সিলিন্ডার ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে বাইরে রেখে যান পরিবারের কেউ একজন। স্থানীয়দের অনেকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কী হচ্ছে সেটা দেখতে। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
সে সময় পাশের আরেকটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই দগ্ধ হয় সবাই।
ওই ঘটনার পর মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।