নিখোঁজ সবার মরদেহ পাওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছে।
Published : 30 Apr 2023, 06:28 PM
পটুয়াখালীর দশমিনায় তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় বিয়ের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ বরসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হলো। আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তেঁতুলিয়া ও বদনাতলী লঞ্চঘাট সংলগ্ন নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরা হলেন বর রাব্বি হাওলাদার (২০), তার মা সেলিনা আক্তার (৪০), খাদিজা (৫) ও মানসুরা (৮)।
গত শুক্রবার ১৫/১৬ জনকে বহনকারী একটি ট্রলার তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই বর রাব্বি হাওলাদারের ফুফু লিপি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকারী দলের নেতা ও পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার মো. রেজওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বর ও তার মায়ের মরদেহ গলাচিপার বদনাতলী সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অপর দুই শিশুর মরদেহ তেঁতুলিয়া নদীর পাতারচর পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ সবার মরদেহ পাওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চারজনসহ পাঁচজনের মরদেহ দুপুরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে প্রসাশনের পক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, চরবোরহান থেকে ট্রলারটিতে ১৫ জনের মতো বরযাত্রী কনে বাড়ির অনুষ্ঠান শেষে দশমিনায় বরের বাড়ি আসছিলেন। পথে নদীর ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পর বাকিরা সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও ৫ জন পানিতে তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর লিপি বেগম (৩০) নামের এক নারীর [বরের ফুফু] লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়।
গত মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে বাড়িতে তুলে আনতে কনের বাড়ি যান। শুক্রবার নববধূ সুমাইয়াসহ ১৫-১৬ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে দশমিনার গুলি আউলিয়াপুর বাড়ির দিকে রওয়ানা হন। পথে তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে নদীর ঢেউয়ের কবলে পড়ে তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর রাব্বি হাওলাদারের ফুফু লিপি আক্তারের মরদেহ পাওয়া যায়। রাব্বি হাওলাদার ও তার মা সেলিনা বেগমসহ ৪ জন নিখোঁজ হন।
নিহত সবার বাড়ি দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এরা সবাই একে অপরের আত্মীয়।
পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবি: বরসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ১