ফরিদপুর-৩: স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ শামীমের

“এ কে আজাদ একজন শিল্পপতি ও সর্বোচ্চ ট্যাক্স প্রদানকারী। তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্যই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”

ফরিদপুর-৩ সদর আসনে ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। তিনি কারও নাম উল্লেখ না করে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এই টাকা ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গুলজার মণ্ডলের ডাঙ্গীতে এক জনসভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদ। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।

শামীম হক বলেন, “নির্বাচনি আচরণবিধির অন্যতম শর্ত হচ্ছে টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না। কিন্তু ফরিদপুরের সরলপ্রাণ মানুষদের ভোটের জন্য টাকা দিয়ে কী যে করা হচ্ছে তা কল্পনা করতে পারবেন না কেউ। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে এই লোকগুলোর কী হবে?

“ভোটের মাঠে এত টাকা দিচ্ছে এই প্রার্থী ও তার ভাই! তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে সাধারণ মানুষ ভীত হয়ে গেছে। আবার সেই ভয়ঙ্কর দিন ফিরে আসবে কি-না সেই শঙ্কাও তাদের আছে?

নৌকার প্রার্থী বলেন, “বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই। ব্যক্তি উদ্যোগে এটি কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ একটি জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারের পলিসি বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু ফরিদপুর সদর আসনে নৌকাকে পরাজিত করতে জনগণকে নানা মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। নৌকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

“আমি ব্যক্তিগতভাবে গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরের জন্য রাজি করিয়েছি। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে চান তারা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন”, বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তবে এ ব্যাপারে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদকে রাতে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

পরে তার নির্বাচন সমন্বয়কারী শোয়েবুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ জানে এ কে আজাদ একজন শিল্পপতি ও দেশের সর্বোচ্চ ট্যাক্স প্রদানকারী। তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্যই এসব টাকা ছিটানোর কথা বলা হচ্ছে। অপপ্রচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণেই এসব করা হচ্ছে।”

নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইশতিয়াক আরিফ, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান মণ্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পান্নু।