Published : 23 Jul 2023, 05:40 PM
ফেনীর একটি ডালের মিল থেকে ৪০০ বস্তা ডাল গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ট্রাকের মালিক-চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ট্রাক মালিক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার রুদ্রঘাতি পশ্চিম পাড়ার সাইফুল ইসলাম (৪৩), ট্রাক চালক বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিষাবর্গ এলাকার আবদুস সালাম (৪৫) এবং ওই মালামালের ক্রেতা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাঠারী এলাকার হুমায়ুন কবির (৩৩)।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ফেনীর মহিপাল এলাকার মেসার্স আল আমিন ভাজি বুট ও ডাল মিলস্ থেকে গত ২১ জুন ৪০০ বস্তা ছোলার ডাল নিয়ে একটি ভুয়া নম্বরধারী ট্রাক ‘মেসার্স মামনি ট্রান্সপোর্ট’ ভৈরবের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু ট্রাকটি ভৈরবে না পৌঁছালে ছয়দিন পর প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আজিম ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, থানা থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে ডিবির এসআই জসিম উদ্দিন মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারেন সিরাজগঞ্জের সদর থানা পুলিশ একটি সন্দেহজনক ট্রাক আটক করেছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এরপর এসআই জসিম সিরাজগঞ্জ থানায় গিয়ে ট্রাক মালিক সাইফুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ট্রাক মালিক ফেনী থেকে ৪০০ বস্তা ছোলার ডাল আত্মসাতের ঘটনা স্বীকার করে এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম জানান।
জাকির হাসান বলেন, এরপর ডিবি অভিযান চালিয়ে ২১ জুলাই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কনচি পাড়া থেকে ওই ট্রাক চালক আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে। পরে চালকের দেওয়া তথ্য মতে, ২২ জুলাই ঢাকার ধামরাই থানার ডাউটিয়া চেয়ারম্যান মার্কেট থেকে ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার গোডাউন থেকে আত্মসাৎ করা ৪০০ বস্তার মধ্যে ২৩০ বস্তা ছোলার ডাল জব্দ করা হয়েছে।
এসপি আরও বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন কবির জানান, ১৭০ বস্তা ছোলার ডাল তিনি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাক মালিক জানান, ট্রাকের ভুয়া কাগজপত্র তৈরির কাজে পাবনার সাথিয়া থানার মোক্তার হোসেন তাদেরকে সহায়তা করে থাকেন।
পুরো অভিযানে একটি ট্রাক, ২৩০ বস্তা ছোলার ডাল, পাঁচটি জাল নম্বর প্লেট ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের জাল কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, এ আত্মসাতের সঙ্গে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার সালাম জড়িত থাকলেও তিনি পলাতক রয়েছেন।
ডিবির ওসি সদীপ কুমার দাস বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে রোববার দুপুরে ফেনীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে।