কাপ্তাই হ্রদের হাউজবোটের জন্য শিগগিরই নীতিমালা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক।
ডিসি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে যেসব হাউজবোট আছে সেগুলোর দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা তৈরি করা হবে।
গত শনিবার ভারত নিয়ন্ত্রীত কাশ্মীরের শ্রীনগরের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র ডাল লেকে কয়েকটি হাউজবোটে আগুন লেগে রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, চট্টগ্রামের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত ও ঠিকাদার মো. মাঈনুদ্দীন নিহত হন।
তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। তারা গত ৩ নভেম্বর চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে ডাল লেকে হাউজবোটে গত শনিবার অগ্নিদুর্ঘটনায় পড়েন।
অনিন্দ্য ৩০তম এবং ইমন ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
রোববার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে রাঙামাটি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন নিহত তিন বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যুর বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
ওসি বলেন, “কাপ্তাই হ্রদে হাউজবোটে কোনো নীতিমালা না থাকায় দিন দিন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে উঠছে। রাতে কে কোথায় থাকেন, কীভাবে থাকেন, তাদের নিরাপত্তা কী, বিষয়গুলো আমাদের জানা নেই। তারা রাতে কোন ঘাটে থাকে, হাউজবোটগুলোর অগ্নিনির্বাপক কী ব্যবস্থা আছে তাও জানা নেই।”
হ্রদে বর্তমানে প্রায় পনেরটি হাউজবোট কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান ওসি আরিফুল আমিন।
সেগুলো পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সভায় বিষয়টি আলোচনায় এলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এ বিষয়ে শিগগিরই নীতিমালা তৈরির কথা জানান।
সভায় অতিরিক্ত জেলা হাকিম মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ রাজু ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: