টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি ও ‘ধর্ষণ’: গ্রেপ্তার আরও ২

গ্রেপ্তার রাজা মিয়ার দেওয়া তথ্যে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2022, 07:37 AM
Updated : 5 August 2022, 07:37 AM

টাঙ্গাইলে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় আরও দুইজনকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার শুক্রবার দুপুরে তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে জানান, এর আগে গ্রেপ্তার রাজা মিয়ার দেওয়া তথ্যে আগের রাতে অভিযান চালিয়ে কালিয়াকৈর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা।

তারা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বাহেজ উদ্দিনের ছেলে নূরুন্নবী (২৬) ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার শুকুর আলীর ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩০)।

মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেস বাসে উঠে ডাকাত দল যাত্রীদের মারধর ও তাদের সাথে থাকা জিনিসপত্র লুট করে। পরে বাসে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করে তারা। এ তাণ্ডব চলে বুধবার ভোর পর্যন্ত।

এ ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় মামলা করেন।

অন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ থেকে ১২ সদস্য টানা তিন ঘণ্টা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন ঘটনা ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা তিনটি মোবাইলও এ সময় উদ্ধার করা হয়।

বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাজা মিয়া টাঙ্গাইল-চন্দ্রা পথে চলাচলকারী ঝটিকা পরিবহনের বাসের চালক। টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকায় বাসটির মূল চালক মনিরুল ইসলাম মনিরকে সরিয়ে রাজা মিয়া বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেন।

মনিরকে তখন বাসের পেছনে বেঁধে রাখা হয়। রাজা মিয়াই তিন ঘণ্টা ধরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রাস্তায় বাসটি চালিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, সকালে সংবাদ পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রথমে এটিকে দুর্ঘটনা মনে করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

পরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও যাত্রীদের লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনায় যে নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Also Read: টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ: একজন গ্রেপ্তার

Also Read: টাঙ্গাইলে বাসে যাত্রীবেশে ‘ডাকাতি, দলবেঁধে ধর্ষণ’