প্রধানমন্ত্রী বরণে প্রস্তুত কোটালীপাড়া, সাজ সাজ রব

প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলার ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন; জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

মনোজ সাহাগোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2023, 10:24 AM
Updated : 24 Feb 2023, 10:24 AM

চার বছর পর নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে; এলাকায় বইছে সাজ সাজ রব। 

শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি (টিটি) উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলার ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন। 

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রধান সমন্বয়ক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, “জনসভার মাঠ উপচে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের সমাগম ঘটবে। এলাকার শতভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসেন। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে তারা এটি প্রমাণ করে দেবেন।“

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার বলেন, “চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকায় আসছেন। তাই এখানে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। সাধারণ মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে আমরা এমন আভাস পাচ্ছি।” 

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি এখান থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতি এখানকার মানুষের আস্থা অবিচল। সবশেষ তিনি ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। কোভিড মহামারীর কারণে এরপর দুই বছর তিনি এখানে আসতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়াকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সড়কে। সর্বত্র সাজ সাজ রব। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ। এরই মধ্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 

কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলা শহরসহ আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকেও হাজার-হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা আরও জানান, এখানে জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।

কোটালীপাড়া উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামের কৃষক মনোহর বিশ্বাস (৬০) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রাণের মানুষ। তিনি এখানকার মানুষকে প্রাণের অধিক ভালবাসেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আমরা মাতৃজ্ঞানে ভক্তি শ্রদ্ধা করি। ভোট দিয়ে এমপি বানাই।”

“প্রাণের নেত্রীকে একনজর দেখতে ও তার ভাষণ শুনতে আমি জনসভায় যাব। আমাদের গ্রামের শত শত মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।“

ভাঙ্গারহাট গ্রামের দিদার তালুকদার (৫৫) বলেন, “কোটালীপাড়া ছিল নিম্ন জলাভূমি বেষ্টিত পশ্চাদপদ ও অন্ধকার জনপদ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই জনপদটি অবহেলার শিকার হয়। এখানে কিছুই ছিল না। এই জনপদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাকে অভিনন্দন জানাতে আমরা দলে দলে জনসভায় যাব।“

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কোটালীপাড়া সফর আমাদের পরম পাওয়া। তাই আমাদের আনন্দের সীমা নেই। সর্বত্রই চলছে উৎসবের আমেজ। নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে বেশ চাঙ্গা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে আমাদের সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।”