মঙ্গলবার মারা যাওয়া ইয়াসিন আরাফাত ছিলেন বাসের হেলপার আর মশিউর কাজ করতে পোশাক কারখানায়।
Published : 19 Mar 2024, 09:02 PM
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে আরো দুইজন মারা গেছেন।
এ নিয়ে ছয় দিন আগের ওই দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যান ২১ বছরের ইয়াসিন আরাফাত। কিছুক্ষণ পরে মারা যান ২২ বছরের মশিউর আলী।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইয়াসিন আরাফাতের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬২ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছিল। আর মশিউরের শরীর পুড়েছিল ৬০ শতাংশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হল।"
গাজীপুরের ঘটনায় দগ্ধ ১৪ জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের কারও অবস্থাই ভালো নয়।
এছাড়া আরও পাঁচজন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ওই ঘটনায় হতাহতরা সবাই নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যাওয়া ইয়াসিন আরাফাত ছিলেন তাকওয়া পরিবহন বাসের হেলপার।
ইয়াসিনের মা আয়েশা খাতুন বলেন, ইয়াসিনের ২৪ দিন বয়সী ছেলে হোসাইনকে বুকে ধরে তার স্ত্রী রুমি খাতুন স্বামীকে বাঁচানোর যুদ্ধে নেমেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল।
ইয়াসিনের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসায়।
অন্যদিকে মারা যাওয়া মশিউর পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ ইফতারের আগে আগে গ্যাসের আগুনে বিপুল সংখ্যক মানুষের দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।
ওই ঘটনার পর মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধদের মধ্যে গত ১৫ মার্চ প্রথম মারা যান সোলাইমান মোল্লা। পরদিন ১৬ মার্চ মৃত্যু হয় ৪৫ বছর বয়সী মনসুর এবং ৩ বছর বয়সী তৈয়বা নামে এক শিশুর।
এরপর রোববার ভোরে আরিফুল ইসলাম নামের ৩৮ বছর বয়সী একজন এবং সকাল পৌনে ৭টায় ২৫ বছর বয়সী মহিদুল খানের মৃত্যু হয়। রোববার সন্ধ্যায় মারা যান মাহিদুলের স্ত্রী নার্গিস আক্তার (২২)।
রোববার রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে গোলাম রাব্বী (১১), সোলায়মান (৯), জহিরুল ইসলাম (৪০) ও মোতালেব (৪৮) মারা যান। আর সোমবার সন্ধ্যায় মারা যায় ৭ বছর বয়সী তাওহীদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন...