এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক’ প্রশ্নের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবীব বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষে একজন বাহক মারফত তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়কে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।”
তবে তদন্তের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার পক্ষে কোনো মন্তব্য করাটা শোভন নয়।”
গত ৬ নভেম্বর বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এইচএসসি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের দেওয়া বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্নের চতুর্থ পৃষ্ঠার ১১ নম্বর প্রশ্নে এমন বিষয়ে বেছে নেওয়া হয়, যা খুবই সংবেদনশীল। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
পরে গত ৮ নভেম্বর যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রাব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুজন হলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ও উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন ঘোষ।
যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রণীত প্রশ্নটি তৈরি করেছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। ওই প্রশ্ন প্রণয়নের সাথে জড়িত চার মডারেটরকেও শনাক্ত করা হয়।
তারা হচ্ছেন- সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন ও মীর্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ।
আরও পড়ুন