“কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করা প্রার্থীদের দায়িত্ব; ভোটার কিন্তু নির্বাচন কমিশন এনে দেবে না।”
Published : 27 Dec 2023, 07:23 PM
ভোটার নাই মানে নির্বাচনের প্রাণ নাই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের বড় অংশ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাই, সেই নির্বাচনের কিন্তু কোনো মানে নাই। আর ভোটার নাই, নির্বাচনের কোনো প্রাণ নাই। নির্বাচনের প্রধান প্রাণ হচ্ছে ভোটার ও প্রার্থী। আমরা শুধু নির্বাচনের আয়োজনকারী।”
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি রাশেদা বলেন, “নির্বাচন একদম দোরগোড়ায়। হাতে বেশি সময়ও নাই। আমরা নির্বাচন কমিশনাররা সব জায়গায় যাচ্ছি। কেন যাচ্ছি, বিষয়টি খোলাসা করা দরকার।
“নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে বসছি। কারণ আমরা মনে করছি, নির্বাচনটা একটা সমন্বয়ের ব্যাপার। সমন্বয় না হলে নির্বাচনের কাজটা হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “এটা একটা মহাযজ্ঞ। নির্বাচন কমিশন ও তাদের অধীনস্থদের পক্ষে এতবড় একটা নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাদের কাজের দায়িত্ব ধাপে ধাপে সংযুক্ত এবং কাজের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি।”
রাশেদা বলেন, “যেহেতু এখানে বিভিন্ন দপ্তরের লোক সংযুক্ত হয়েছে, সেজন্য তাদের সঙ্গে তাদের লিংক করে দেওয়া। লিংকটা কতটুকু সফল হচ্ছে, তা আমরা উপর থেকে মনিটরিং করছি।”
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচন একদম সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, পরিচ্ছন্ন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পূর্ণ করতে হবে। যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে বলতে পারে, আমরা স্বাচ্ছন্দে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে মূলত এখানে আসা।”
প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নির্বাচনে আপনারা আসছেন কিন্তু ভোটাররা এলো না, তাহলে কী হবে আপনারাই বলেন! সেজন্য ভোটারকে কেন্দ্রে আনা খুবই জরুরি। কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি করা প্রার্থীদের দায়িত্ব। ভোটার কিন্তু কমিশন এনে দেবে না।
রাশেদা সুলতানা বলেন, “আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন্দ্রে এসে ভোটাররা যদি ভোট দিতেই না পারে, তাহলে ভোটার এনে কী করব? আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে এই বার্তা দিতে চাই, এবার কিন্তু আমরা ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছি।
তিনি বলেন, “ভোট সুন্দর হবে, অবাধ হবে, নিরপেক্ষ হবে। ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে। আমাদের দেশসহ আন্তর্জাতিক মহল বলবে, ভালো ভোট হয়েছে। ভালো ভোট হয়েছে বলে আমরা স্বীকৃতি পাব। এটুকুই আমাদের কমিশনের চাওয়া। সবার সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, “আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনারা হচ্ছেন, স্বচ্ছ কিংবা অস্বচ্ছ ভোট হচ্ছে কিনা সেটা তুলে ধরার একমাত্র বড় মাধ্যম। অবশ্যই আপনারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।”
কোনো রকম অপপ্রচার না হয়, যা বাস্তব সেটাই তুলে ধরা হয় সাংবাদিকদের প্রতি সেই আহ্বান করেন ইসি রাশেদা।
গাইবান্ধার রিটার্নিং কর্মকর্তা ডিসি কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালেব উপস্থিত ছিলেন।