১০ বছর আগে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে অটোরিকশায় পেট্রল বোমা হামলায় এক যুবক নিহত হন।
Published : 16 Jan 2025, 06:04 PM
লক্ষ্মীপুরে পেট্রল বোমা হামলা মামলায় জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়াসহ ৩৭ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের পিপি আহমেদ ফেরদৌস মানিক জানান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন কবির মুরাদ বলেন, ১০ বছর আগে লক্ষ্মীপুর নতুন মহিলা কলেজের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তখনকার সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই মিঠন মহাজন জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়াসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে পুলিশ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে।
২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা হামলায় মো. লিটন নামে এক যুবক মারা যান।
লিটন নাটোর জেলার রসুলঘর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর জব্বারের ছেলে।
তিনি লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে এ ঘটনার শিকার হন। বোমায় আব্দুল করিম ও মো. আশিক নামে আরও দুজন দগ্ধ হন। তারা দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেয়।
আইনজীবী মুরাদ আরও বলেন, “মামলার আসামিরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। তারা আদালতে প্রত্যেক শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সাক্ষিরা আসেনি। এতে আদালত সাক্ষিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের পুলিশ ধরে আনার পর তারা সাক্ষি দিয়েছে, আসামিদের কাউকেই তারা চেনেন না, মামলার ঘটনার সম্পর্কেও তাদের কোনো কিছু জানা নেই।”
জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “১০টি বছর মামলার গ্লানি আমাদের টানতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় আমাদের অনেককেই জেল খাটতে হয়েছে। কারাগারে থেকে কষ্ট পেতে হয়েছে। বিগত সরকারের সময় আইন-আদালত তাদের অনুকূলে ও আজ্ঞাবহ ছিল। আজকের আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”