পরিবার জানায়, বিজয় দিবস উদযাপনে মাইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজানো হয়। তারপরই তাকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়।
Published : 17 Dec 2024, 05:37 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাবনার সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়; পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা জানান।
গ্রেপ্তার ৪৫ বছর বয়সী মোস্তফা আলী খান টাটিপাড়া গ্রামের চয়েন আলী খানের ছেলে এবং চরতারাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পাবনা চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান অনুপস্থিত আছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে মোস্তফা আলীকে দায়িত্ব দেন।
মোস্তফা চরতারাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।
তবে মোস্তফার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, রোববার রাতে টাটিপাড়া এলাকায় স্থানীয়ভাবে বিজয় দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মাইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজানো হয়। রাতে উপজেলা প্রশাসন এবং সদর থানা থেকে মোস্তফাকে মাইক বাজানো বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এরপর মাইক বাজানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে মাইক বন্ধ পায়। পরদিন সোমবার দুপুরে পুলিশ মোস্তফাকে ডেকে থানায় নিয়ে যান। পরে তাকে মামলার আসামি করা হয়।
পরিবারের দাবি, এই আয়োজনের সঙ্গে মোস্তফার কোনো ‘সম্পৃক্ততা ছিল না’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিদর্শক সঞ্জয় মঙ্গলবার বলেন, “মাইকে ভাষণ বাজানো এবং নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। প্রমাণ পেলে তারপর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহারুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আগে থেকে জানতাম না, গ্রেপ্তারের পর জেনেছি।”