পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক জানান, সরকারি নির্দেশনায় গত ১ জুন থেকে ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে সব ধরনের পাস-পারমিট বন্ধ ঘোষণা করে বনবিভাগ।
Published : 06 Aug 2023, 06:25 PM
নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছ-কাঁকড়া আহরণের অভিযোগে গত ২ মাসে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়াও গত দুই মাসে আটটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ১৩০টি নৌকা এবং অবৈধ কাঁকড়া পরিবহণের একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয় বলে পশ্চিম সুন্দরবনের (সাতক্ষীরা রেঞ্জ) সহকারী বন সংরক্ষক কেএম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী জানান।
পাশাপাশি অবৈধ ভেসালী জাল, নিষিদ্ধ কীটনাশক, হরিণ ধরার ফাঁদ, শুঁটকি-চিংড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
ইকবাল হোছাইন চৌধুরী জানান, সরকারি নির্দেশনায় গত ১ জুন থেকে ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে সব ধরনের পাস ও পারমিট বন্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। শুধু জেলে ও বাওয়ালী নয়, পর্যটকদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারপরও কিছু অসাধু মানুষ গোপনে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করার অপচেষ্টা চালায়।
এ সব প্রতিহত করতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির সমন্বয়ে সুন্দরবনে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক আরও বলেন, গত ২ মাসে সাতক্ষীরা রেঞ্জে সাতটি পিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সব মামলায় ২২ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া ৩১টি ইউডিওআর মামলা এবং ১৬টি সিওআর মামলা (যার আসামি সংখ্যা ৭৯ জন) দায়ের করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) আবু নাসের মহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময় বিভিন্ন স্টেশন ও ফাঁড়ির সদস্যরা প্রতিনিয়ত টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে আটক করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।