বিষয়টিকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা বলে দাবি করছেন উপজেলা বিএনপির ওই নেতা।
Published : 07 Dec 2024, 10:34 PM
নাটোরে বিএনপির সভামঞ্চে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের শ্যালিকা থাকার ঘটনায় সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের সইয়ে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর সিংড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভার মঞ্চে ফ্যাসিস্ট সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের উপস্থিতি ও তার আসন গ্রহণের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে বিবেচিত হয়।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, আপনাদের এ কর্মকাণ্ডে বিএনপির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে বা লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হল।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম আনুর জবাবের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার বিকালে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভার মঞ্চে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আসন গ্রহন করতে দেখা যায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চাচাত শ্যালিকা যুব মহিলা লীগ কর্মী ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে।
দৃষ্টি ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন।
তিনি পলকের চাচা শ্বশুর আনিছুর রহমান মেয়ে ও আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি।
মঞ্চে তার উপস্থিতির পরপরই সিংড়ার রাজনৈতিক মহলে আলোচনার-সমালোচনার ঝড় উঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আনোয়ারুল ইসলাম আনু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হল।
এদিকে, এ ঘটনায় আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ আলী, শরফুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন ও শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার বিএনপির জনসভায় এক ভদ্রমহিলা সবার অগোচরে মঞ্চে ওঠেন এবং পেছনের সারিতে একটি আসন গ্রহণ করেন। তিনি ওই অনুষ্ঠানের কোনো আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন না। বিষয়টি জানতে পারার পরপরই তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে এর আগেই তার কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই কতিপয় ব্যক্তি এই প্রচারণা চালিয়েছেন। এমন ‘অপচেষ্টার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
জেলা বিএনপির শোকজ ও নিজেদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর বিষয়টি জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, “মঞ্চ এক দেড়শ লোক উঠছে, তার মাঝে ফারজানা রহমান দৃষ্টি কখন উঠছে, আমরা খেয়াল করিনি। বুঝতে পারার পরেই তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কিছুই না। এটাকে লোকজন ভিন্ন খাতে চালায় দিচ্ছে।”