এক পিপির দাবি, কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে অন্যরা এগুলো করছেন।
Published : 20 Oct 2024, 09:34 PM
অপসারণের দাবিতে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
রোববার সকাল ৯টার দিকে পিপি এটিএম ফয়েজ উদ্দিন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মুজিবুর রহমান মুজিবের কক্ষে তালা দেওয়া হয় বলে ফোরামের সিলেট ইউনিটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তালাবন্ধের পর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা।
একপর্যায়ে আদালতের দ্বিতীয় তলায় পিপি মুজিবুর রহমান মুজিবকে দেখে আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন।
পরে আইনজীবীর সমিতির সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে স্থান ত্যাগ করেন মুজিব।
গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের আদালতে পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারী পিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ওই দুই পিপির অপসারণ চেয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা আন্দোলন করে আসছেন।
রোববারের বিক্ষোভের সময় আইনজীবীরা বলেন, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এটিএম ফয়েজ একজন বহুরূপী ও বিতর্কিত ব্যক্তি।
তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বিএনপিতে এলেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দীর্ঘ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক।
তার সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা ও দলীয় নেতাকর্মীদের আইনি সেবা নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে একসময় আইনজীবী ফোরামের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ফোরামের আইনজীবীরা আরও বলেন, এটিএম ফয়েজ দুই বছর আগে স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় পাড়ি জমান।
তাদের অভিযোগ, গত ৫ অগাস্টে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে তিনি পিপি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন; সংশ্লিষ্টদের ভুল বুঝিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটি বাগিয়ে নেন।
নেতারা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এটি এম ফয়েজকে পরিবর্তনের জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে পিপি এটিএম ফয়েজ বলেন, “আমরা এখন কার্যালয়ে বসিনি। আজকে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা ও জজ সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। পরে শুনেছি, কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি আমার ব্যক্তিগত কার্যালয় নয়, সরকারের কার্যালয়।”
কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে তারা এমনটি করছেন বলে দাবি এটিএম ফয়েজের।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অপর পিপি মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।