রাস্তার দুপাশে শত শত মানুষ রাজাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন; তিনি হাত নেড়ে উষ্ণ শুভেচ্ছার জবাব দেন।
Published : 28 Mar 2024, 04:22 PM
কুড়িগ্রামে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব পাশে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৪ সদস্যের সফরসঙ্গী নিয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে বেলা ৩টায় তিনি সড়কপথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফরসঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে সড়কপথে বেলা পৌনে ১২টায় পৌঁছান কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে বেলা দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাস্তার দুপাশে শত শত মানুষ রাজাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজা কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ছিলেন। তবে তিনি গাড়িতে বসেই হাত নেড়ে উষ্ণ শুভেচ্ছার জবাব দেন। এতেই খুশি সাধারণ মানুষ। তারা স্বপ্ন দেখছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এ জনপদের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।”
কুড়িগ্রাম জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে লন্ডনে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় রাণীর উপস্থিতিতে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ভুটানের রাজাকে প্রস্তাব দেন।
ভুটানের রাজার সফর ঘিরে কুড়িগ্রামে উচ্চাশা
এ বিষয়ে তারা সম্মতি জানালে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কে ধরলা ব্রিজের পূর্বপ্রান্ত মাধবরাম মৌজায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসন ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাসজমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে।
এক বছরের মাথায় বৃহস্পতিবার ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থানটি পরিদর্শন করলেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, "ভুটানের রাজা কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখে খুশি হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভুটানের বিনিয়োগ শুরু হবে।“
“এ থেকে আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুতই কুড়িগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভুটান সরকারের সহায়তায় অর্থনৈতিক অঞ্চলটি চালু হবে।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ভুটানের রাজার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।