দুই দফায় তারা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
Published : 19 Feb 2025, 01:06 AM
হিমাগারে আলু রাখার ‘বুকিং স্লিপ’ না পেয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চাষিরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ও বেলা ১২টায় দুই দফায় উপজেলা সদরের হিমাদ্রি কোল্ড স্টোরেজের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোজাফফর হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আলু চাষীদের বরাতে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকেই হিমাগারে আলু রাখতে বুকিং স্লিপের জন্য হিমাদ্রি কোল্ড স্টোরেজের সামনে জড়ো হতে থাকেন কৃষকেরা।
তবে সকাল ৯টার দিকে হিমাদ্রি কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক তাদেরকে জানান, স্টোরে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী বুকিং কার্ড বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এই খবর জানার পর আলু চাষীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
পরে তারা কোল্ড স্টোরেজের সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও বেলা ১২টায় পুনরায় একই স্থানে ফের অবস্থান নেন আলু চাষিরা।
দুই দফায় তারা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আলু চাষীরা জানান, হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য আগে থেকে বুকিং দিতে হয়। কে কী পরিমাণ আলু রাখতে চান, সেই অনুযায়ী বুকিং দেন তারা।
অবরোধে অংশ নেওয়া আলু চাষি আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, “একদিকে এবার হিমাগারে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপর দিকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বুকিং স্লিপ বিক্রি শুরু হয়।
“কিন্তু তিন দিনেই সব বুকিং স্লিপ শেষ হয়ে যাওয়া রহস্যজনক। তাই অবিলম্বে হিমাগারে আলু রাখার বুকিং স্লিপ আলু চাষীদের প্রদান করতে হবে।”
পরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম, হাইওয়ে থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে কৃষকেরা অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে হিমাদ্রি কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেন নাই।
মঙ্গলবার রাতে ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, “প্রতিজন কৃষক কমপক্ষে পাঁচ বস্তা করে আলু যাতে হিমাগারে রাখতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হিমাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”