রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুইডিশ রাজকুমারী, দেখলেন শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যবস্থা

হেলিকপ্টারযোগে বুধবার সকালে প্রথমে ভাসানচর এবং পরে দুপুরে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। 

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 01:51 PM
Updated : 20 March 2024, 01:51 PM

কক্সবাজারের উখিয়া ও নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির-ইউএনডিপি শুভেচ্ছাদূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। 

বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রথমে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর এবং পরে দুপুরে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান তিনি। 

এ সময় ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য স্থাপিত স্কুল এবং রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য স্থাপিত ২০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তিনি।

সকালে ভাসানচরে পৌঁছানোর পর নৌবাহিনী ঘাঁটির ১ নম্বর হেলিপ্যাডে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার মিসবাহ উল আজিম, সম্মুখ ঘাঁটির অধিনায়ক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার (ভাসানচর) মাহফুজার রহমান। 

তারপর সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া ৬৭ নম্বর ক্লাস্টারে অবস্থিত ব্র্যাক এনজিওর স্কুল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার (ভাসানচর) মাহফুজার রহমান বলেন, প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া ভাসানচরে নেমে কীভাবে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় এবং কীভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় তার বিস্তারিত জেনেছেন।

“প্রায় এক ঘণ্টা তিনি এই দুইটি স্থান পরিদর্শন করেছেন। এর বাইরে আর কোথাও তিনি যাননি। তবে আমাদের নৌ অ্যাম্বুলেন্স নেই। সেটি দ্রুত পাওয়ার কথা রয়েছে তা আমরা জানিয়েছি। সবশেষ তিনি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা সেবায় সন্তুষ্ট হয়েছেন।” 

এরপর ভিআইপি গেস্ট হাউজে অবস্থান শেষে সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে প্রতিনিধিদল নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে চট্রগ্রামের উদ্দেশে তিনি ভাসানচর ত্যাগ করেন। 

অন্যদিকে, দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। 

এ সময় তাকে স্বাগত জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন (এফডিএমএন) ডিআইজি মো. আব্দুল্লাহীল বাকী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

এরপর রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া প্রথমে যান ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাদ্য বিতরণের ই-ভাউচার সেন্টারে। সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প-৪ এ ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। 

সেখান থেকে ক্যাম্প-৫ এর ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন, একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তারপর ক্যাম্প-১০ এর ইউএনডিপি পরিচালিত ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ন্যাচার বেইজড সলিউশন সাইট স্লোপ স্ট্যাবিলাইজেশন ফর ল্যান্ড সাইট রিস্ক মিটিগেশন, ক্যাম্প-১৮ এর আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার পরিদর্শন করেন তিনি। 

এদিকে বিকেলে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে সুইডেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।