“ছাত্র জনতা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেবে না।”
Published : 16 Jan 2025, 10:05 PM
সীমান্তে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচার করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয় সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে, তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, “বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর প্রত্যেকটি রাষ্ট্রকে বলতে চাই আজকের পর থেকে কেউ যদি আমাদের কোনো নাগরিকের দিকে শকুনের দৃষ্টিতে তাকানোর চেষ্টা করে, তবে সেই দৃষ্টি উপরে ফেলার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা যথেষ্ট।”
তিনি বলেন, “আর যদি আমার কোনো ভাই কিংবা বোনের লাশ ওই সীমান্তে ওই তারকাঁটায় তাদের লাশ ঝুলে থাকে, ওই কাটাতাঁর লক্ষ্য করেই আজকের মার্চ ফর ফেলানীর মতো লং মার্চ করা হবে। আর পরবর্তীতে যদি কাঁটাতারকে উদ্দেশ্য করে আমাদের মার্চ হয়, তাহলে সেই মার্চ লাখো কাঁটাতার ভেদ করে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর যাবে।”
“আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা তাঁরকাটা দেওয়ার নামে জোর করে বাঁধা দেওয়ার জন্য যে প্রয়াস তা রুখে দেওয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুথান হয়েছে এই অভ্যুথানের স্পুলিং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”
ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই ছাত্র জনতা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, “আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যদি ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হন তাহলে তাদের পরিণতি খুনি হাসিনার মতো হবে।”
লং মার্চের শুরুতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও কুড়িগ্রামের চরের জীবনজীবিকা উন্নয়নে নদী সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানান সারজিস আলম।
লং মার্চটি সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রামের জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়। পরে কুড়িগ্রামের নাগশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে তা শেষ হয়।
লং মার্চে আরও উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও লং মার্চে উপস্থিত ছিলেন।