তিনটি মামলায় ফরিদপুরের আদালত জামিন নাকচ করে তাকে করাগারে পাঠায়।
Published : 02 Oct 2022, 07:27 PM
হামলা ও চাঁদাবাজির তিনটি মামলায় আত্মসমর্পণের পর ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ফরিদপুরে বহুল আলোচিত দুই ভাই মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) সাজ্জাদ হোসেন বরকতের ‘ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী’ দীর্ঘদিন ধরেই আত্মগোপনে ছিলেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সাইফুল ইসলাম জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখের আদালতে দুটি মামলায় এবং অতিরিক্ত জেলা জজ-২ এর শিয়াবুল ইসলামের আদালতে একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার।
সাইফুল ইসলাম (৩৫) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তিনি ফরিদপুর শহরতলীর বনগ্রামের বাসিন্দা মাজেদ মল্লিকের ছেলে। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাফরুল থানায় রুবেল-বরকতের যে মামলা করেন তাতে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাইফুল।
তার বিরুদ্ধে ছোটন হত্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
রোববার যে তিনটি মামলায় সাইফুলের জামিন নাকচ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা এবং বিআরটিসির ম্যানেজার দুলাল লস্করের করা চাঁদাবাজির মামলা।
সাইফুল ইসলামের আইনজীবী শফিক মুন্সী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রথমে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে তার জামিন নাকচ করা হয়। পরে জেলা জজ আদালতে বাকি দুটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ হয়ে যায়।“
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, মানি লন্ডারিং মামলাসহ বাকি মামলাগুলোতেও সাইফুলকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হবে।
২০২০ সালের ১৬ মে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ১৮ মে মামলা করেন সুবল সাহা।
মামলার সূত্র ধরে ওই বছর ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। ওইদিন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলীর বদরপুরের ‘আফসানা মঞ্জিল‘ থেকে রুবেল-বরকতসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন সাইফুল।