শিশুটির অসুস্থ বাবা ঢাকায় চিকিৎসাধীন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
Published : 31 Mar 2025, 07:28 PM
মাগুরার শ্রীপুরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ছয় বছর বয়সি সেই শিশুটির পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ।
সন্তান হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবারটি। পুরনো স্মৃতি মনে করে এখনো কাঁদছেন শিশুটির মা।
ভেজা গলায় তিনি বলেন, “পরিবার থেকে যদি একটা বাচ্চা চলে যায়, তার মা-বাবা কি ঈদ করতে পারে? আমি মা হয়ে কিভাবে ঈদ করব?
মা জানান, ঈদের দিনে তার মেয়ের প্রিয় খাবার ছিল খিঁচুরি।
নিহত শিশুটির বড় বোন বলেন, “ঈদের আগের চাঁদ রাতে মেহেদির রঙে আমার বোনের দুই হাত রাঙিয়ে দিতাম। ঈদের দিন তার সঙ্গে অনেক মজা করেছি। আমরা দুই বোন একসঙ্গে বেড়াতে যেতাম আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।”
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, পরিবারটি গরীব। বছর ঘুরে ঈদ এলেও মেয়ের শোকে ঈদ আনন্দ বিলীন হয়েছে গোটা পরিবারে।
তারা বলেন, মেয়েটি মারা যাওয়ার পর তার অসুস্থ বাবা আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীরাই পরিবারটির খোঁজ-খবর রাখছেন।
শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৬ বছর বয়সি শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। গত ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ঘটনার শুরু থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় শিশুটি বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে প্রধান করে চারজনের নামে মামলা করেন মা। চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়েছেন।
পুরোনো খবর:
মাগুরায় শিশু 'ধর্ষণের' ঘটনায় তিন দিন পর মামলা, ৪ আসামির সবাই গ্রেপ্তার