এ ঘটনায় আহত চারজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Published : 21 Mar 2025, 06:05 PM
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ‘কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধের’ জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের প্রাণ গেছে; এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের আরও চারজন।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আহম্মেদপুরের নওপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান।
নিহত মো. নজিম উদ্দিন (৫৫) ওই এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।
আহতদের মধ্যে কবরস্থান কমিটির সেক্রেটারি আরিফ হোসেন (৩৫) এবং জাহাঙ্গীর আলমকে (৩৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া আহত ফারুক হোসেন (৩২) এবং সজিবকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ওই এলাকার আব্দুল গণির ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকার প্রয়াত আব্দুস সামাদ মৌলভী স্থানীয় কবরস্থানে ৬০ শতাংশ জমি দান করেন। এ জমির দখল নিয়ে কবরস্থান কমিটির সঙ্গে সামাদ মৌলভীর ছেলে আব্দুল গণি ও তার নাতিদের দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে আগেও দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জমি নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে গ্রামের লোকজন আব্দুল গণির ছেলে সজিব হোসেনকে (২৫) মারধর করেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কবরস্থান কমিটির লোকজন স্থানীয়দের নিয়ে আব্দুল গণির রাইস মিলে হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা আব্দুল গণির ছেলে ফারুককে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ফারুকের পক্ষের লোকজন ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে নজিম গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
নজিম উদ্দিনের ছেলে মো. নাইম সাংবাদিকদের বলেন, “আব্দুল গণি কিছু জমি দান করলে তার ছেলেরা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন তারা। সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বাবা ও চাচারা ফারুকের রাইস মিলে গেলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
“এক পর্যায়েয় ফারুক তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় বাবাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে নজিম উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।