আগুনে অর্ধশতাধিক বসতঘর ও বেশ কিছু দোকানপাটসহ ৮০টির বেশি স্থাপনা পুড়ে গেছে।
Published : 24 May 2024, 12:32 PM
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা নয়ন জানান।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের কাঁঠাল গাছতলার বাজারে আগুন লাগে।
তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করত পারেনি অতিরিক্ত শরণার্থী কমিশনার।
ঘটনার বর্ণনায় সামছু-দৌজা বলেন, “তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলার বাজারে হঠাৎ আগুনে লাগে। এরপর দ্রুতই তা বাজারের অন্য দোকানপাটসহ আশপাশে ক্যাম্পের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
“পরে তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হলে প্রথমে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্টেশনটির আরও একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।”
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, “আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে খবর দেওয়া হয় কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকেও।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার থেকে তিনটি এবং টেকনাফ থেকে দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু তার আগেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়া গেছে।“
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আগুনে ক্যাম্পের অর্ধশতাধিক বসতঘর ও বেশ কিছু দোকানপাটসহ অন্তত ৮০টির বেশি স্থাপনা সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে।
“এছাড়া ২০ থেকে ৩০টির বেশি বসতঘর ও অন্যান্য স্থাপনা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।“
কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানতে চাইলে সামছু-দৌজা বলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা না-কি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। পাশাপাশি আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।“
আগুনে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোন তথ্যও হাতে আসেনি বলে জানান তিনি।