গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বেইনঘর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুদিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
Published : 04 Nov 2022, 06:12 PM
লাখো পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে রাঙামাটির রাজবন বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সবচে বড় কঠিন চীবর দানোৎসব।
শুক্রবার দুপুরে বিহারের ৪৯তম দানোৎসবে বনভান্তের স্মৃতির উদ্দেশ্যে চীবর দান করেন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বেইনঘর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুদিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
শুক্রবার সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয় ধর্মদেশনা।
এতে উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।
অনুষ্ঠানে রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির বলেন, “পৃথিবী থেকে জরা, দুঃখ, গ্লানিবোধ মুছে ফেলার মাধ্যমে মানব হিতার্থে জীবনযাপন করতে হবে। একে-অন্যকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। জীবকে ভালোবাসতে হবে। তবেই ভগবান বুদ্ধের দর্শন লাভ সহজ হবে।”
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় মহাউপাসিকা বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা এবং সুতা রঙ করে কাপড় বুনে তা সেলাই করে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করে এই উৎসবের সূচনা করেন। এ পদ্ধতিতে দান করলে কায়িক-বাচনিক-মানসিকভাবে অধিক পরিশ্রম হয় এবং অধিকতর পূণ্যলাভ হয় বলে বৌদ্ধ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তিনটিলা বন বিহারের ১৯৭৪ সালে কঠিন চীবর দানোৎসবের পুনঃপ্রবর্তন করেন।