এ সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
Published : 12 Jan 2024, 09:21 PM
সুনামগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ এক ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুর এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয় বলে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদীর হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং পরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় মহাসড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিহত মিসমা বেগম সদর উপজেলার কাঠইর গ্রামের মো. শামছু মিয়ার মেয়ে এবং সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নিহতের ভাই ফরহাদ মিয়া, বাবা মো. শামছু মিয়া, শিক্ষক নেতা হারুন অর রশিদ ও আব্দুল মতিনসহ অনেকে।
নিহতের ভাই ফরহাদ মিয়া বলেন, গত ১ জানুয়ারি শান্তিগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামে শশুরবাড়িতে মিসমা বেগম মারা যায়। ১১ মাস আগে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে মিসমার বনিবনা হচ্ছিল না। মিসমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রটিয়ে তার বাবার পরিবারের কাউকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে শশুরবাড়ির লোকজন। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মিসমাকে খুন করে অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মিসমার বাবা শামছু মিয়া বলেন, “আমার মেয়েকে শশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে বলছে, সে আত্নহত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই এলাকার মানুষ আমার মেয়ের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে।”
মামলার নেওয়া হয় নাই কেন জানতে চাইলে ওসি মোক্তাদীর বলেন, “মিসমা আত্নহত্যা করেছে বলে তার শশুরবাড়ির লোকজন অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে মামলা করকে কেউ আসে নাই।”