এবারের লক্ষ্যাপার গুণীজন সম্মাননা পেয়েছেন ময়মনসিংহের তবলা শিল্পী পণ্ডিত মদন মোহন দে।
Published : 17 Feb 2024, 06:36 PM
নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠন লক্ষ্যাপারের ত্রয়োদশ বার্ষিক শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন শেষ হয়েছে। এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়েছে লক্ষ্যাপারের সমন্বায়ক প্রয়াত অসিত কুমারকে।
দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রারম্ভিক অধিবেশনের মূল আকর্ষণ ছিল ‘বহুকণ্ঠে খেয়াল’।
জেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০ জন শিশু-কিশোর শিল্পীর অংশগ্রহণে এই ‘বহুকন্ঠে খেয়াল’ পরিবেশিত হয়।
এ ছাড়া ছিল বেঙ্গল পরম্পরার শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় কণ্ঠ ও যন্ত্রের সম্মেলক এবং সবুজ ও তার শিষ্যদলের সম্মেলক তবলা লহরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের শীর্ষ অধিবেশন শহরের আলী আহম্মদ চুনকা মিলনায়তনে শুরু হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে একজন শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা প্রদানের পর রাতভর চলে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনা।
এবারের লক্ষ্যাপার গুণীজন সম্মাননা পেয়েছেন ময়মনসিংহের তবলা শিল্পী পণ্ডিত মদন মোহন দে। তাকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী৷
রাতভর শাস্ত্রীয় সংগীতের আসরে ছিলেন দেশবিদেশের আটজন গুণী শিল্পী।
তারা হলেন- শিল্পী আখরোজা রূপা (কণ্ঠ), অভিজিৎ কুণ্ডু (কণ্ঠ), সুপ্রিয়া দাশ (কণ্ঠ), সুভাশিস মূখোপাধ্যায় (কণ্ঠ), রেজোয়ান আলী (কণ্ঠ), বিপ্লব ভট্টাচার্য (তবলা), সুপ্রতীক সেনগুপ্ত (সেতার) এবং দোলন কানুনগো (মোহনবীণা)।
লক্ষ্যাপার সমন্বায়ক শাশ্বতী পাল বলেন, এই অধিবেশনের মূল আকর্ষণ ছিল বহুকণ্ঠে খেয়াল। এতজন শিশু-কিশোরকে সম্পৃক্ত করে সম্মেলক খেয়াল পরিবেশনাটি ছিল লক্ষ্যাপারের একটি অসাধারণ প্রয়াস।