টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ ঘটনায় তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় দুজন বিচারক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন বলে আদালতের পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান।
আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় বাসের চালক রাজা মিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুর নবী।
পরিদর্শক বলেন, “রাজা মিয়া ও আব্দুল আউয়াল টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম শামছুল আলম এবং নুর নবী জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দেন।”
জবানবন্দি শেষে তিনজনকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আদালত পরিদর্শক।
মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেস বাসে উঠে ডাকাত দল যাত্রীদের মারধর ও তাদের সাথে থাকা জিনিসপত্র লুট করে। পরে বাসে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করে তারা। এ তাণ্ডব চলে বুধবার ভোর পর্যন্ত।
এ ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় মামলা করেন। অন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ থেকে ১২ সদস্য টানা তিন ঘণ্টা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন ঘটনা ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এর পর বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুল আউয়াল ও নুর নবীকে।
এরপর রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সাত দিন এবং অন্য দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পায় পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওইদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।