টাঙ্গাইলে যাত্রীবেশে চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ‘দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার’ নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রুমী খাতুন ওই নারীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান।
তিনি আরও জানান, বিচারক ২২ ধারায় নারীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে টাঙ্গাইল সদর জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান ।
তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ড করে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। বাহ্যিকভাবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
পুলিশ জানায়, যাত্রীবেশে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী নাইট কোচে উঠে ডাকাত দল গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের মারধর ও তাদের সাথে থাকা জিনিসপত্র লুট করে। পরে বাসে থাকা ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে মধুপুরের রক্তিপাড়া জামে মসজিদের উল্টোপাশে মজিবরের বাড়ির সামনের বালির ঢিবিতে বাস উঠিয়ে দিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। অন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ থেকে ১২ সদস্য টানা তিন ঘণ্টা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন ঘটনা ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এরই মধ্যে পুলিশ রাজা মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। যিনি বাসের মূল চালককে সরিয়ে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। বিকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
টাঙ্গাইলের বাসে কী ঘটেছিল: বর্ণনা দিলেন ‘ধর্ষণের’ শিকার নারী