Published : 05 Aug 2023, 06:33 PM
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এ সময় তিনি কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তার স্ত্রী এমিকে সঙ্গে নিয়ে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছান। তখন তাদের স্বাগত জানান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা।
পিটার হাস বলেন, “কুমুদিনী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠানগুলি খুব ভালো কাজ করছে। এখানে এসে আমি খুবই আনন্দিত।”
ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, মহবীর পতি, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক সেখানে ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকরা দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে পিটার ডি হাস উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে রাষ্ট্রদূত কুমুদিনী মিলনায়তনে যান। সেখানে কুমুদিনী ট্রাস্টের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
কুমুদিনী কমপ্লেক্স বাংলাদেশের জনকল্যাণমূলক সংগঠন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সদরদপ্তর।
শিল্পপতি সমাজসেবক শহীদ রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৪৭ সালে মা কুমুদিনীর স্মরণে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় থেকে এ সংস্থা বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রধান জনকল্যাণকর কার্যক্রমগুলো হল: কুমুদিনী হাসপাতাল (মির্জাপুর), নার্সিং স্কুল, মহিলা মেডিকেল কলেজ, ভিলেজ আউটরিচ প্রোগ্রাম, ভারতেশ্বরী হোমস, ট্রেড ট্রেনিং স্কুল, কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফ্টস প্রভৃতি।
মানব সেবায় অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে এটিকে ‘সমাজসেবায়’ স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।