“যারা ‘৭১ কে মেনে নিতে পারে না, যারা ৭৫ এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা আবারও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর রয়েছে”, বলেন তিনি।
Published : 23 Oct 2023, 04:13 PM
পুলিশের কাছে এখন উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে জানিয়ে যারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদেরকে সতর্ক করলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেছেন, “কেউ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ জানে কারা ঘাপটি মেরে বসে থেকে দেশের ক্ষতি করতে পারে এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এজন্য পুলিশ আগে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।”
রোববার রাতে মানিকগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি আনন্দময়ী নাট মন্দিরে শারদীয় দুর্গা পূজা পরিদর্শনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
মণ্ডপে উপস্থিত পূণ্যার্থীদের হারুন বলেন, “দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয়। অসাধু চক্র, যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে। যারা ‘৭১ কে মেনে নিতে পারে না, যারা ৭৫ এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা আবারও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর রয়েছে। পূজা মণ্ডপে বিশৃঙ্খলা করার জন্য তারা ঘাপটি মেরে আছে। কাজেই উন্নয়নে অগ্রযাত্রা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
‘ধর্ম যার যার, উৎসবটা সবার’ এই মন্তব্য করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “দেশের মানুষ আজ উৎসবে মেতেছে। আমরা কালকেও বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। সেখানে দেখেছি হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। আমি মনে করি, সব বিভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে আমরা সম্প্রীতি বজায় থাখবে।
“বাংলাদেশ একটি শান্তি-সম্প্রীতির জায়গা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সাল সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। আমরা একটি স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক দেশ পেয়েছি। যার ফলে আজকে আমরা সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারছি।
“কলকাতার চেয়ে আমাদের দেশেও মণ্ডপ সংখ্যা কম নয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ বাহিনী সব জায়গায় কাজ করছে, পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কর্মী এবং দেশের জনগণও সহযোগিতা করছে।
দেশের সব রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে মন্তব্য করে ডিএমপির ডিবি কর্মকর্তা বলেন, “সেসব সমাবেশ যেন নিরাপদ এবং সুশৃঙ্খলভাবে করতে পারে, সেদিকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
“ঢাকাসহ সারাদেশের যে কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা, কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।”
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, পৌর মেয়র রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সুভাষ চন্দ্র সরকার, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পূজা মণ্ডপের কর্মকর্তারাসহ দর্শনার্থীরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।