তারা মেয়রকে না পেয়ে কাউন্সিলরদের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং মেয়রকে কার্যালয়ে না আসার হুঁশিয়ারি দেন।
Published : 18 Aug 2024, 10:52 PM
কর্মকর্তাদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে।
রোববার বিকালে যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তালা দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। তবে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকারের দাবি, তালা দেওয়ার ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নন।
এদিকে, গত ৫ অগাস্টের পর মেয়র ইকরামুল হক টিটু আত্মগোপনে থাকলেও রোববার সকালে তার করপোরেশনে আসার খবরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেখানে যান।
এ সময় তারা মেয়রকে না পেয়ে কাউন্সিলরদের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং মেয়রকে কার্যালয়ে না আসার হুঁশিয়ারি দেন।
কাউন্সিলররা বিষয়টি নিয়ে ডিসির সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান।
পরে শিক্ষার্থীরা ডিসির কার্যালয় থেকে এসপির কাছে গিয়ে ময়মনসিংহে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা সম্পর্কে জানতে চান।
পাশাপাশি সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।
এ সময় এসপি মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এসপির কার্যালয় ছেড়ে আসার আগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এদিকে, রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রদল ও যুবদলের দেড়শতাধিক নেতাকর্মী ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে প্রবেশ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
নেতাকর্মীরা সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় তলা থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বের করে দেন।
সিটি করপোরেশনের অন্য কক্ষগুলোতে ঢুকে কর্মকর্তাদের বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন।
করপোরেশনের প্রধান গেইটসহ অন্যান্য গেইটেও তালা ঝুলানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সিটি করপোরেশনের সহকারী সচিব আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, “যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিনতে পারিনি।”
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, “আমাদের দলীয় কোনো লোক সেখানে যায়নি। ছাত্র-জনতা তালা লাগিয়েছে।”
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪)।
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া চৌরঙ্গীমোড় এলাকার মো. আসাদুজ্জামানের ছেলে সাগর জেলার ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।