সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ওয়ান ইলেভেন বা অপারেশন ক্লিন হার্টের মত সেনাবাহিনী কঠোর হবে না।”
Published : 13 Aug 2024, 08:03 PM
জীবন বিপন্ন হয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এমন কাউকে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার কথা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, “তবে তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয়, অবশ্যই তারা শাস্তির আওতায় আসবেন।”
মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী সেনানিবাসে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, “যাদের ওপর হামলার হুমকি রয়েছে তাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। যে-ই হোক, যে দল-মতেরই হোক, যে ধর্মেরই হোক। সেটা আমরা করব। অবশ্যই আমরা চাইব না, বিচার বহির্ভূত কোনো অ্যাকশন তাদের ওপর হোক।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের মত কিংবা অপারেশন ক্লিন হার্টের মত সেনাবাহিনী কঠোর হবে না। আমরা এই সরকারকে সর্বতোভাবে সাহায্য করব। সরকার কিছু সংস্কার করতে চাচ্ছে এবং একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন করতে চাচ্ছে, সেটার জন্য যে ধরনের সহায়তা তারা আমাদের কাছে চাইবেন, সেটা আমরা করব।”
পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকগুলো উদ্ধার হয়েছে। অভিযানও চলছে। আশা করি, সেগুলোও উদ্ধার হয়ে যাবে।”
পুলিশ কিছুটা ‘ট্রমার’ মধ্যে আছে দাবি করে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা পুলিশকে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছি। যখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে; তখন আমরা ইনশাল্লাহ সেনানিবাসে ফেরত যাব। সে পর্যন্ত আমরা থাকব।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি কোনো চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “কোনো চাপ নেই। তবে মাইনোরিটি ইস্যু নিয়ে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। ২০টি জেলায় ৩০টির মত মাইনোরিটি রিলেটেড অরাজকতা হয়েছে। এটা অবশ্যই কাম্য না। একটা হওয়াও কাম্য না। আমরা এ বিষয়টি দেখছি এবং যারা অপরাধী অবশ্যই তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব ইনশাল্লাহ।”
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “সেখানে অবশ্য একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরিস্থিতি এখন একদম স্বাভাবিক। তাদের নেতৃবৃন্দ এসেছেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে যারা এই অপরাধ করেছেন, তদন্ত হবে, যারা এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, বিচার হবে।”
এর আগে সেনাপ্রধান রাজশাহীর অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। এছাড়া র্যাব-৫ ও বিজিবির কর্মকর্তারাও ছিলেন।