২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানান পিপি।
Published : 06 Mar 2025, 07:23 PM
ফরিদপুর সদর উপজেলায় কলেজ ছাত্রকে হত্যা মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন অপর দুই আসামি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস।
যাবজ্জীবন পাওয়া সিফাত হোসেন আবির (১৯) সদর উপজেলার কমলাপুর কুঠিবাড়ী এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
খালাস পাওয়ারা হলেন- একই এলাকার হান্নান খার ছেলে রাশেদ খা (২৩) এবং পাটপাশা বাছারডাঙ্গী এলাকার বিল্লাল বাছারের ছেলে হিমেল (২০)।
নিহত কাজী মুনসেরাতুল রহমান আলিফ (১৮) বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজী জিল্লুর রহমানের ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি ইয়াসিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পিপি রকিবুল ইসলাম বলেন, শহরের পূর্ব খাবাসপুরের ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন আলিফ। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে আলিফ প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। পরে ৫টার দিকে রাজেন্দ্র কলেজের শহর শাখার অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে আলিফকে মারধর করে কুপিয়ে জখম করে সিফাত হোসেন ও তার সহযোগীরা।
গুরুতর আহত আলিফকে প্রথমে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে আলিফ মারা যায়।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর আলিফের বাবা কাজী জিল্লুর রহমান রহমান কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান পিপি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশে করে রকিবুল ইসলাম বলেন, “রায়ে প্রমাণ হয়েছে, অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।”