শেরপুরে ঘুরতে এসে নদীতে গোসলে নেমে ২ ভাইয়ের মৃত্যু

আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ওই দুজন পানিহাতা পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ঘুরতে এসে নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। যারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।

শনিবার দুপুরে উপজেলার পানিহাতা পাহাড়ে ভোগাই নদীর লক্ষীডোবায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন।

নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর এলাকার স্কুল শিক্ষক আহাম্মদ আলীর ছেলে নিহান (১৮) এবং ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীরের ছেলে সাজিত (১৩)। নিহান এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সাজিত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, নিহান ও সাজিত পরিবারের সঙ্গে পানিহাতা পাহাড়ে ঘুরতে যায়। দুপুরে পাহাড় ঘেঁষা নদীর লক্ষীডোবার কাছাকাছি তারা গোসল করতে নামেন। বালুচরে হাঁটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে সাজিত নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। তাকে বাঁচাতে নিহান এগিয়ে গেলে জড়াজড়ি করে দুই ভাই তলিয়ে যায়।

তাদের সঙ্গে থাকা চাচা সোহরাব ভাগ্নে ও ভাতিজাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিলেও পাথরের আঘাত পেয়ে পড়ে যান তিনি। ততক্ষণে দুই ভাই নিখোঁজ হন।

পরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে সদস্যরা নদীর তলদেশ থেকে নিহান ও সাজিতের লাশ উদ্ধার করেন।

স্বজনেরা জানান, একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজনরা হালুয়াঘাটে এসেছিল। শুক্রবার বিয়ে শেষে শনিবার নারী ও শিশুসহ মোট ১৮ জন মিলে পানিহাতা বেড়াতে যান। বেড়াতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে স্বজনরা ছাড়াও ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত জামালপুর থেকে নালিতাবাড়ী সীমান্তের পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে যাই। ডুবুরি নামানোর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।”

ওসি ছানোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানার একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। দুজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।