“বাবা সাধারণত পরিচিত কোনো লোক ছাড়া দরজা খুলতেন না৷"
Published : 11 Feb 2025, 12:29 PM
নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
সোমবার রাতে টানবাজার সাহাপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধারের কথা জানান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দীন৷
নিহত ৬৫ বছর বয়সী উৎপল রায় ওই এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে বড় ছেলে উজ্জ্বল রায়ের সঙ্গে থাকতেন৷
উজ্জ্বল ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নামে একটি এনজিও’র প্রকল্প পরিচালক।
উৎপলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ৷
নিহতের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, উৎপল রায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি ওই ফ্ল্যাটে বড় ছেলের সঙ্গে থাকতেন৷ তার আরেক ছেলে বিদেশে থাকেন৷ সোমবার রাতে উজ্জ্বল বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন৷ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাবার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান৷
পরিদর্শক জামাল উদ্দীন বলছেন, “উৎপল রায়ের গলায় ধারালো কিছু দিয়ে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ ওই বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনাও ঘটেছে৷
“এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির দারোয়ানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না৷ ধারণা করা হচ্ছে, দারোয়ান এ লুট ও হত্যায় জড়িত থাকতে পারে৷ সবদিক বিবেচনায় পুলিশ তদন্ত করছে৷”
নিহতের ছেলে উজ্জ্বল রায় বলেন, তিনি প্রতি সকালে তার ঢাকার কর্মস্থলে চলে যান৷ এরপর সারাদিন বাবা বাড়িতে একাই থাকতেন। এক গৃহকর্মীর কাজ করেন আর একজন দারোয়ান টুকটাক কাজ করে দেন৷
তিনি বলেন, “বাবা সাধারণত পরিচিত কোনো লোক ছাড়া দরজা খুলতেন না৷ যিনি বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বাবার পরিচিত হওবার সম্ভবনাই বেশি৷
“আর দারোয়ানকে নিয়ে দরজা ভাঙলেও এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না৷ ঘরের প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকাও নেই৷”
তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।