কারাগারে যাওয়া আসিফ রেজা রায়পুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
Published : 05 Mar 2025, 07:41 PM
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় এক কৃষি কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সদর আদালতে আসামি জামিন আবেদন করলে বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আদালতের জারিকারক মাকসুদুর রহমান।
কারাগারে যাওয়া আসিফ রেজা রায়পুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
বাদী মনোয়ারা বেগম মুন্নী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার মেয়ে। তিনি আসিফের দ্বিতীয় স্ত্রী।
বুধবার বিকালে আদালতের জারিকারক মাকসুদুর রহমান বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আসিফ কমলনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি হাজিরহাট ইউনিয়নের গৃহবধূ মুন্নীকে কৃষাণী শাখার সভাপতি নির্বাচন করেন। পরে মুন্নীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন আসিফ। তিনি মুন্নীকে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মুন্নী তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে আসিফকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মুন্নীকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন আসিফ। পরে আসিফ রায়পুর উপজেলায় বদলি হন। এর মধ্যে আসিফের প্রথম স্ত্রী ঘটনাটি জানতে পারলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে কোনো উপায় না পেয়ে আসিফ তার প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান। সেইসঙ্গে মুন্নীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। পরে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিবে বলে মুন্নীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন আসিফ। কিন্তু ২৮ জানুয়ারি মুন্নী লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। মামলায় পর আসিফের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালত।
আসিফ ঘটনাটি সমাধান করবেন বলে আদালতের কাছে এক মাসের সময় চান। আদালত তা মঞ্জুর করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সমঝোতা না হওয়ায় মঙ্গলবার আসিফ আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ মোরশেদ আলম শিপন বলেন, যৌতুকের মামলায় কৃষি কর্মকর্তা আসিফ রেজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে বাদী ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিষয়টি শোনার কথা জানিয়ে রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পেলে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।