একদিন আগে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Published : 12 Feb 2025, 09:27 PM
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত এক যুবক মারা গেছেন। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন বুধবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক ৪৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত শাহাদত হোসেন (৩৭) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামের বাসিন্দা।
আটকরা হলেন- ওই গ্রামের আফরিনা আকতার, কুপিয়া বেগম এবং আফরুজা বেগম।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই খুকিন, কনস্টেবল সোহেল ও কনস্টেবল রাশেদ।
ওসি লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে ধনারচর গ্রামের আবুল হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার নুর ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালত ও থানায় পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক মামলাও রয়েছে।
মঙ্গলবার বিরোধপূর্ণ জমি থেকে আবুল হোসেনের পক্ষে শতাধিক লোকজন সরিষা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে নুর ইসলামের পক্ষের একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। ঘটনাটি যাচাই করতে রৌমারী থানার এসআই খুকিন, কনস্টেবল সোহেল এবং রাশেদ ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আহত হন শাহাদত, রিতা, শেফালী, বাছিরন, রাবেয়া, মন্টু মিয়া ও শহিদুল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
তিনি বলেন, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ৭টার দিকে শাহাদত হোসেন মারা যান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আবার উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর পেয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং রৌমারী ও রাজিবপুর থানার ওসিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। এ সময় জনতা বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশের ওপর চড়াও হন। পরে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন নারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।