আন্দোলনকারীরা সরে গেলে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নতুন নাম সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
Published : 06 Feb 2025, 12:12 AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার আবাসিক হলের নামফলক ভাঙচুর করে নতুন নাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হল ও কামারুজ্জামান হলের নামফলক পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’, ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘অ্যাকশন- অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে গিয়ে জড়ো হন।
পরে তারা হলটির নামফলক, উদ্বোধনী ফলকসহ শেখ মুজিবের চিহ্ন সম্বলিত স্থাপনাগুলো রড, হাতুড়ি, কোদাল দিয়ে ভেঙে দেন। এ সময় তারা হলটির নতুন নাম ‘বিজয় ২৪’ রাখেন।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে নির্মাণাধীন এএইচএম কামারুজ্জামান হলেরও নামফলক ভেঙে এর নাম দেন শহীদ আলী রায়হান হল, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের নাম দিয়েছেন ফতিমা আল-ফিহরিয়া এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলকে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল নাম দেন শিক্ষার্থীরা।
তবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম দেওয়া নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিপত্তি বাঁধে। এসময় সেখানে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে আন্দোলনকারীরা সরে গেলে প্রক্টরের উপস্থিতিতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নতুন নাম সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার সায়েন্স প্রকৌশল বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, “নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও তার চিহ্নের কোনো জায়গা দেওয়া হবে না। ফ্যাসিবাদের এসব চিহ্ন মুছে দিতে আজকে আমাদের এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ভাইদের রক্ত শুকানোর আগেই খুনি হাসিনা লাইভে এসে ছাত্রদের সামনে ভাষণ দেয়! আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের সব চিহ্ন মুছে দেব।”