পুলিশের ধারণা, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে তার প্রথম পক্ষের সন্তানকে হত্যা করেন গ্রেপ্তার হওয়া আয়না আক্তার।
Published : 23 May 2024, 12:10 AM
গাজীপুরে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে সৎ মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় শিশুটিকে সকালে হত্যার পর তা জানাজানি হয় সন্ধ্যায়।
পুলিশ জানায়, আট বছর বয়সী শিশু মিম আক্তারকে হত্যার পর নিজ ঘরের সানশেডের উপরে কাঁথা দিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে আটক করা হয় সৎ মা আয়না আক্তারকে।
পুলিশ জানায়, শিশুটির বাবা সিরাগঞ্জের সবুজ মিয়া গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি কালিয়াকৈরের হরিণহাটি এলাকার সোজাবর আলীর ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলার প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন।
বছর দেড়েক আয়না আক্তারকেও বিয়ে করেন সবুজ মিয়া। একই ভবনের পঞ্চম তলায় আরেকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে তাকে রাখেন। গত কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে সবুজের বিবাদ চলে আসছিল।
বুধবার সকাল থেকে সবুজের প্রথম সংসারের মেয়ে মিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার পরিবার এলাকায় মাইকিং শুরু করে।
সকাল থেকে সবুজের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়নাও কারও সামনে আসছিলেন না। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখতে পান, তিনি নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে আছেন।
ডাকাডাকির এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় দরজা খোলেন আয়না। তখন প্রতিবেশীরা সানশেডের উপরে কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে রাখা মিমের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি আয়নাকে আটক করে ।
কালিয়াকৈর থানার এসআই জুয়েল বিশ্বাস বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে প্রথম স্ত্রীর ঘরের সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন আয়না।”
শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।