টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন প্যাট কামিন্স।
Published : 23 Jun 2024, 08:36 AM
৪৮ ঘণ্টা আগেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিকের সঙ্গে পরিচয় ছিল না প্যাট কামিন্সের। তিনিই পরপর দুই ম্যাচে টানা তিন বলে নিলেন তিন উইকেট। গড়লেন অনন্য কীর্তি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো বটেই, এই সংস্করণেই টানা হ্যাটট্রিকের প্রথম ঘটনা এটি।
সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রাশিদ খান ও পরে শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে কারিম জানাত ও গুলবাদিন নাইবের উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার।
একই ওভারের তৃতীয় বলে নানগেলিয়া খারোটের ক্যাচ ছেড়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার। নয়তো টানা ৪ বলে ৪ উইকেট পেতে পারতেন কামিন্স। সেটি না হলেও এতটুকু ম্লান হয়নি ৩১ বছর বয়সী পেসারের কীর্তি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঠিক আগের ম্যাচে ১৮ ও ২০তম ওভার মিলিয়ে পরপর তিন বলে তিন উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স। সেদিন তার শিকার ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদি হাসান ও তাওহিদ হৃদয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ও সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক করা পঞ্চম বোলার কামিন্স। আগের চার জন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি, সার্বিয়ার মার্ক পাভলোভিচ ও মাল্টার ওয়াসিম আব্বাস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় বোলার কামিন্স। ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরপর দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন পাকিস্তানের বোলিং গ্রেট ওয়াসিম আকরাম। এছাড়া ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে একই ম্যাচের দুই ইনিংসে পরপর তিন বলে তিন উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়া জিমি ম্যাথিউস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অষ্টম হ্যাটট্রিক এটি। সবশেষ দুটিই কামিন্সের। এই ৮ হ্যাটট্রিকের ৪টিই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর কামিন্স বলেছিলেন, তিনি আসলে বুঝতেই পারেনি হ্যাটট্রিকের কথা। ইনিংস বিরতিতে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি বলেছেন, এবার ঠিকই মনে রেখেছেন।
“আজকে আমার মনে ছিল (হ্যাটট্রিকের কথা)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলেছি (একটিও হ্যাটট্রিক ছিল না), এখন পরপর দুই ম্যাচে দুটি। অন্যরকম অনুভূতি।”
কামিন্সের হ্যাটট্রিকের আগে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। দুজন মিলে গড়েন চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় শতরানের জুটি। টুর্নামেন্টের এক আসরে এটিই রেকর্ড।
গুরবাজ ৫১ বলে ৬০ ও ইব্রাহিমের ৪৮ বলে ৫১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে আফগানিস্তান।