টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন আফগান বাঁহাতি পেসার।
Published : 27 Jun 2024, 09:39 AM
যে ম্যাচটি হতে পারত আরও একটি স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ, সেটিই শেষ পর্যন্ত রূপ নিল বিভীষিকায়। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে স্রেফ উড়ে গেল আফগানিস্তান। তবে দলের জন্য ভুলে যাওয়ার এই ম্যাচটিতেই দারুণ এক ব্যক্তিগত অর্জনে নিজেকে রাঙালেন ফাজালহাক ফারুকি। আফগান ক্রিকেটের জন্যও এটি গৌরবের।
টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের আগে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড শুধুই নিজের করে নিলেন এই বাঁহাতি পেসার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচটি দিয়েই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন ফারুকি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে দলের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে লঙ্কান লেগ স্পিনারকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে আফগান পেসার আসর শেষ করলেন ১৭ উইকেট নিয়ে।
২০২১ আসরে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৬ উইকেট নিয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ছিল হাসারাঙ্গার।
এবারের আসরের শুরু থেকেই ফারুকি ছিলেন বিধ্বংসী। উগান্ডার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি স্রেফ ৯ রান দিয়ে।
নবীন ও অনভিজ্ঞ দলের বিপক্ষে ওই পারফরম্যান্সকে কেউ যদি গুরুত্ব কম দিতে চান, পরের ম্যাচেই নিজের সামর্থ্য আরেক দফায় বুঝিয়ে দেন ২৩ বছর বয়সী পেসার। এবার নিউ জিল্যান্ডকে হারানোয় বড় অবদান রাখেন চার উইকেট নিয়ে।
পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে তার প্রাপ্তি তিন উইকেট।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। এই দুইয়ের মাঝে ভারতের বিপক্ষে উইকেট নেন তিনটি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে একটি উইকেট নিয়ে ফারুকি স্পর্শ করেন হাসারাঙ্গাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে ম্যাচে উঠে গেলেন নতুন উচ্চতায়।
৮ ম্যাচ খেলে ১৭ উইকেট নিয়ে শেষ করলেন ফারুকি। সমান ম্যাচেই ১৬ উইকেট ছিল হাসারাঙ্গার।
তবে এবারই ফারুকির এই রেকর্ড ছোঁয়ার ও পেছনে ফেলার হাতছানি আছে আর্শদিপ সিংয়ের সামনে। চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে ১৫ উইকেট হয়ে গেছে ভারতের বাঁহাতি পেসারের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে দলীয় লক্ষ্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রাপ্তির সুযোগও তার থাকছে। ফাইনালে উঠতে পারলে থাকবে আরও সুযোগ।
এক আসরে ১৫ উইকেট আছে আরও দুজন বোলারের। তাদের একজন আবারও হাসারাঙ্গা। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় এই পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি। তার পূর্বসূরী অজান্তা মেন্ডিস ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১২ আসরে দেশের মাঠে।
১৪টি করে উইকেট নিয়েছেন এক আসরে তিন বোলার। ২০১০ বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি পেসার ডার্ক ন্যানেস, এবারের আসরে নিয়েছেন আফগানিস্তানের রাশিদ খান। এছাড়া প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই ১৪ উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। বিশ্ব আসরে খেলা বাংলাদেশের প্রথম লেগ স্পিনারও তিনিই।