শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়ে গেলে তখন নির্বাচনের আলোচনা আসবে, বলেন তিনি।
Published : 21 Mar 2025, 10:15 PM
অবিলম্বে শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেছেন, “গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হলে একটি নিয়ম ও পরিকল্পনায় যেতে হবে।দেশ যেহেতু স্বাধীন।তাহলে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দোসরদের বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে।
“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ নাকি আওয়ামী লীগের বিচারটা গুরুত্বপূর্ণ? বিচারের প্রক্রিয়া চলমান থাকলে অটোমেটিক আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কে রোধ করতে পারতো? রোধ করার কোনো সুযোগ থাকতো না।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন এ্যানি বলেন, “হাসিনার পরিবারের বাইরে তার দোসর যারা মন্ত্রী-এমপি ছিল তারা সবাই লুটের সঙ্গে জড়িত ছিল। দুঃশাসন, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। তাদের বিচারও এখনো দৃশ্যমান হয়নি। এ বিচারগুলো দৃশ্যমান হওয়া উচিত। আমরা বারবার বলছি, হাসিনার বিচার, তার পরিবার ও দোসরদের বিচার আগে করতে হবে।”
বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়ে গেলে তখন নির্বাচনের আলোচনা আসবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সেই আলোকে একটি গোলটেবিল বৈঠক হবে সরকারের সঙ্গে। তখন সকল রাজনৈতিক দল বসে সেখানে একটি সমঝোতা চুক্তি করবে।
“সমঝোতা করেই বলবে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এদেশে গুম-খুন, অত্যাচার-নির্যাতন, গণহত্যা ও লুট করছে।”
“কিন্তু তা না করে আমরা রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করছি। জাতির সামনে এই বিবাদটা নিয়ে আসছি। এটি খুব কষ্টকর, দুঃখজনক।”
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন, তা না করে সরকারের সঙ্গে বসেন। সরকারের দায়িত্ব সব রাজনৈতিক দলকে এক টেবিলে এনে আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত সম্পন্ন ও এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণের কাজ সম্পন্ন করা।”
এজন্য একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়াও খুব জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা।
মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আহসান উল্যাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আব্দুল্যা আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সারওয়ার, সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল করিম দিপু ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ছিলেন।