নিহত ফারহানা (৪) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মো. ফয়সালের মেয়ে।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠ সংলগ্ন সিনেমা হলের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে গাড়ি দুটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হয় ফারহানা ও তার বাবা ফয়সাল।
আহতদের ভর্তি করা হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতালের নার্স প্রভাতী বড়াল বলেন, ফারহানার মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছিল। মাথায় আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক।
ফারহানার বাবাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য চারজন হলেন বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান চৌধুরীর ছেলে আমির চৌধুরী, রফিক খানের ছেলে হাসিব খান (২২), বারেক সিকদারের ছেলে সোহাগ সিকদার (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভুবন এলাকার মো. নাসিরের স্ত্রী তানজিলা (৩০)।
পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানায়, বাসটি কুয়াকাটা থেকে বরিশালের দিকে আসছিল আর অটোরিকশাটি সাত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল বিপরীত দিকে। পথে সংঘর্ষে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলের কাছে থাকা আরেকটি অটোরিকশার এক যাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আর আমার ছেলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সামনে বিকট শব্দ শুনি আর বাসটি থেমে যায়। পরে আবার পেছন দিকে আসা শুরু করে বাসটি।
“তখন আমি অটোরিকশার চালককে দ্রুত পেছনে যেতে বলি। দুর্ঘটনায় পড়া অটোরিকশাটি বাসের মাথার ভেতরে ঢুকে গেছিল। পরে আমি আর আমার ছেলে মিলে আহতদের হাসপাতালে পাঠাই।”
বাসটি হঠাৎ করেই ডান দিকে চলে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
বাসের এক কিশোরযাত্রী বলে, “গাড়ি রানিংয়ে ছিল। তো ধাম কইরা একটা শব্দ হইল। শব্দ হওনের পর গাড়ি এইডা ব্রেক করছে প্রথমে। ব্রেক করার পরে অটোর সামনের অংশের বেশিরভাগ গাড়ির ভিতরে ঢুইকা গেছে। এই জন্য গাড়ি আবার পেছনে দিছে।”
“পেছনে দেওয়ার পরে সবাই আমরা নামছি। গাড়িটা কুয়াকাটা থেকে আসছিল। জায়গাতেই চারজন মারা গেছে দেখছি।”
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। তারা স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
সে সময় সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।
বাসটি ইজারাদা দেওয়া ছিল।
বিআরটিসির বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ইজারা দেওয়া বাসটি বরিশাল-বরগুনা পথে চলছিল। বাসের চালক বিআরটিসির নিয়োগপ্রাপ্ত নন।