বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে উপজেলার হ্যালিপেড মাঠ সংলগ্ন সিনেমা হলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন জানান।
নিহতরা হলেন- বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান চৌধুরীর ছেলে আমির চৌধুরী, রফিক খানের ছেলে হাসিব খান (২২), বারেক সিকদারের ছেলে সোহাগ সিকদার (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভুবন এলাকার মো. নাসিরের স্ত্রী তানজিলা (৩০) এবং বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মো. ফয়সালের স্ত্রী সাথী বেগম (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাসটি কুয়াকাটা থেকে বরিশালের দিকে আসছিল আর অটোরিকশাটি সাত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল বিপরীত দিকে। পথে সংঘর্ষে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
বাসটির পিছনের একটি অটোরিকশার যাত্রী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আর আমার ছেলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সামনে বিকট শব্দ শুনি আর বাসটি থেমে যায়। পরে আবার পিছন দিকে আসা শুরু করে।”
বাসটি হঠাৎ করেই ডান দিকে চলে গিয়েছিল বলে দাবি করেন ওই অটোরিকশার যাত্রী।
বাসের যাত্রী এক কিশোর বলে, “গাড়ি রানিংয়ে ছিল। তো ধাম কইরা একটা শব্দ হইল। শব্দ হওনের পর গাড়ি এইডা ব্রেক করছে প্রথমে। ব্রেক করনের পরে অটোর সামনের অংশের বেশিরভাগ গাড়ির ভিতরে ঢুইকা গেছে। এই জন্য গাড়ি আবার পিছনে দিছে।”
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশের সদস্যরা। তারা স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধারকাজ শুরু করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ঘটনার পর ওই সড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স প্রভাতী বড়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসাধীন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিআরটিসির বরিশাল ডিপোর ব্যাবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসটি তাদের ডিপোর। দীর্ঘমেয়াদী ইজারায় বাসটি বরিশাল-বরগুনা পথে চলছিল। বাসের চালক বিআরটিসির নিয়োগপ্রাপ্ত নয়।