গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা: গ্রামের বাড়িতে দাফন হল আনিসের

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেওয়া ঠিকাদার গাজী আনিসের দাফন তার কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2022, 08:38 AM
Updated : 6 July 2022, 08:52 AM

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিনের পান্টি গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে বড় ভাই নজরুল ইসলাম জানান।

সোমবার বিকালে প্রেস ক্লাবের ফটকের ভেতরে খোলা স্থানে আনিস নিজের গায়ে আগুন দেন। পরে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

রাতে গাজী আনিসের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্ত্রী ও তিন মেয়েকে সান্ত্বনা দিতে এসে শোকে বিহ্বল হন এলাকাবাসীর।  

এ সময় তার স্ত্রী জুমিনা রহমান স্বপ্না এ ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং তিন মেয়েকে নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানান।

বড় মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেধা রহমান আঁচল তার বাবার পাওনা টাকা উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

৫০ বছর বয়সী আনিস ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সদস্য এক সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন। পরিচিত জনরা তাকে গাজী আনিস নামেই চেনেন।  

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, তার ভাই হেনোলাক্স গ্রুপে সোয়া কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছিলেন।  সেই টাকা আদায়ের জন্য তিনি ঘুরছিলেন।

গত ৪ জুলাই হেনোলাক্সের কর্ণধার ডা. নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন তাকে চেক দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিকালে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো চেক দেননি।

এর পরপরই প্রেস ক্লাবে এসে আনিস গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন এবং পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয় জানিয়ে মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চেক না দিয়ে এবং বিরূপ আচরণ করে’ আনিসুর রহমানকে আত্মহত্যা করতে ‘প্ররোচিত করা হয়েছে’।

এ ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশ মামলার আসামি হেনোলাক্সের কর্ণধার ডা. নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন: