দেহের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া আনিসকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
৫০ বছর বয়সী গাজী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়, তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। এক সময় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।
একটি কোম্পানির কাছ থেকে পাওনা কোটি টাকা না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আনিসকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়ার সময় ছিলেন মো. আলী নামে এক সংবাদকর্মী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “তার সঙ্গে একটু কথা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, একটি কোম্পানির কাছ থেকে তিনি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। ওই কোম্পানি তা দিচ্ছে না। পাওনা পেতে তিনি এর আগে মানববন্ধন করেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন।”
গাজী আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ময়নাতদন্তের পর তারা লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবেন দাফন করার জন্য।
“ঘটনা শুনে রাতেই ঢাকায় এলাম, ভোরেইতো মারা গেল। শাহবাগ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিবারের সবার সাথে কথা বলে মামলা করব।”